গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করবেন ! - পপুলার হোস্ট বিডি
Title of the document ডোমেইন ও হোস্টিং সহ সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট...
Home / POST / গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করবেন !

গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করবেন !

গুগল এডসেন্সঃ গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করবেন সকল খুঁটিনাটি আলোচনা। 

গুগল এডসেন্সঃ আপনি যদি সারাজীবনের জন্য আয় করতে চান এবং জীবনে সাফল্য পেতে চান । তাহলে গুগল এডসেন্স একটি নির্ভরযোগ্য উপায় যার মাধ্যমে আজীবন আয় করতে পারবেন। এমনকি আপনি মারা গেলেও গুগল এডসেন্স থেকে আপনার স্ত্রী সন্তান ও অর্থ পেতে পারে। কাজেই আজকের এই আলোচনায় গুগল এডসেন্সের খুঁটিনাটি,নাড়িভুঁড়ি ও আদ্যোপান্ত সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কাজেই আপনারা কেউ ধৈর্য হারা হবেন না একটু মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আমি যদি কষ্ট করে এত লিখতে পারি তাহলে আপনারা পড়তে পারবেন না কেন? এতটুকু ধৈর্য না থাকলে কেউ সফল হতে পারে না। গুগল এডসেন্স নিয়ে সমস্ত আর্টিকেলটি যদি আপনারা একবার মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলে গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আর কিছুই অজানা থাকবে না। তাই বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ছোটাছুটি না করে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমি এই একটিমাত্র আর্টিকেলের মাধ্যমে সমস্ত বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আর কোথাও আপনাকে যেতে হবে না। এবং আপনিও খুব সহজেই গুগল এডসেন্স থেকে খুব ভালমানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স কি?

গুগল এডসেন্স হলো গুগল এর মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে বহুল জনপ্রিয় একটি এডভারটাইজিং প্রক্রিয়া।যার মাধ্যমে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অথবা ইউটিউবে গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা উপার্জন করা যায়। চাইলে আপনিও খুব সহজে আপনার ইউটিউব বা ব্লগ সাইটে এভাবে গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা ও পণ্যের প্রচার এবং বিক্রয়ের জন্য  গুগল এডসেন্সের  নিকট চুক্তিবদ্ধ করে। যে কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রয় ও প্রচারের জন্য গুগল এডসেন্সকে অর্থ প্রদান করে থাকে। আর গুগল এডসেন্স সেই পণ্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার করে থাকে, এই প্রচার বাবদ গুগল এডসেন্স কর্তৃপক্ষ সেই অর্থের একটি অংশ  সেই ইউটিউব ও ওয়েবসাইটের মালিক কে প্রদান করেন। গুগল এডসেন্স বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ভিডিও, মোবাইল অ্যাপ এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। মূলত তার মাধ্যমেই যাদের ইউটিউব বা ব্লগ ওয়েবসাইট আছে তারা গুগল এডসেন্স থেকে আয় করতে পারে।

একবার যদি গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয় তার মানে লাইফটাইম উপার্জন শুরু হওয়া । যতদিন গুগল থাকবে ততদিন আপনার ইনকাম হতে থাকবে। অনেকেই গুগল এডসেন্সকে সোনার হরিণ বলে মনে করেন। কারণ সবাই মনে করে এটা পাওয়া খুবই কঠিন। আসলে এমন টা নয়, গুগল এডসেন্স এর সকল নিয়ম সঠিকভাবে মেনে আবেদন করলে অবশ্যই এপ্রুভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কাজেই কিভাবে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করবেন তার বিস্তারিত আলোচনা নিচে করা হবে।

গুগল কেন আমাদেরকে টাকা দেয়?

আমাদের মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে সেটি হল গুগল কেন আমাদেরকে টাকা দেই? গুগলের আরেকটা সেবা আছে, যার নাম গুগল এডওয়ার্ড। গুগল এডওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারনার চুক্তিতে টাকা নেয়। তারপর গুগল এডসেন্স সেবার মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট , ব্লগে ও ইউটিউবে টাকা প্রদানকৃত সেই ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করায়। এখন গুগল যত টাকা আয় করে তার থেকে ওয়েবসাইট, ব্লগ ও ইউটিউব মালিকদেরকে ৬৮% পরিমান অর্থ প্রদান করে এবং বাকি ৩২% অর্থ সেবা পরিচালনা ব্যয় হিসেবে গুগল রেখে দেয়।

কিভাবে গুগল এডসেন্সের টাকা হাতে পাবো? 

এখন সবার মাথায় একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো গুগল এডসেন্সের টাকা হাতে পাবো কিভাবে? এই চিন্তাটা হওয়াটাই স্বাভাবিক কেননা এত পরিশ্রম করে যদি টাকা হাতেই না পায় তাহলে সব পরিশ্রম বৃথা হয়ে যাবে।যখন আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব থেকে গুগল এডসেন্সের মধ্যে ১০ ডলার জমা হবে। তখন অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউবের ইমেইলের ঠিকানা অনুযায়ী গুগল এডসেন্স থেকে ৪ ডিজিটের একটি পিন কোড পোস্ট অফিসে প্রেরণ করবে।  সেই পিন কোডটি নিয়ে আপনার গুগল এডসেন্স ভেরিফাইড করতে হবে।তারপর থেকে আর কোন চিন্তা নেই। আপনারা বুঝতে না পারলে ইউটিউবে সার্চ করে ভিডিও দেখে নিবেন। আপনারা ইউটিউবে এই লিখে সার্চ করবেন কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট পিন ভেরিফিকেশন করব।

গুগল এডসেন্স ইউটিউব,ওয়েবসাইট বা ব্লগারদেরকে দুই ভাবে টাকা দেয়। ১. ব্যাংক ট্রান্সফার এবং ২. ব্যাঙ্ক চেক এর মাধ্যমে। আমাদের দেশে ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে টাকা নেওয়া সবচেয়ে বেশি সুবিধা। আর ব্যাংক চেকের মাধ্যমে টাকা আসতে দেরি হয়। তাই আপনারা গুগল এডসেন্সের মধ্যে লোকাল ব্যাংক এড করে নিবেন। আমার মতে ইসলামি ব্যাংক অথবা ডাজ বাংলা ব্যাংক সবচেয়ে উত্তম। আপনারা চাইলে অন্যকোন ব্যাংক এড করে নিতে পারেন। আপনারা কিভাবে লোকাল ব্যাংক এড করবেন তা ইউটিউবে ভিডিও সার্চ করলে হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন। আপনার একাউন্টে $100 বা তার বেশি জমা হলে প্রত্যেক মাসের ২৩-২৫ তারিখের মধ্যে আপনার লোকাল ব্যাংককে টাকা প্রেরণ করা হবে। তখন ইচ্ছা করলেই আপনারা ব্যাংককে গিয়ে টাকা তুলে নিয়ে আসতে পারেন।

গুগল এডসেন্স কিসে কিসে অর্থ প্রদান করেঃ 

আপনারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন গুগল এডসেন্স কিসের উপর অর্থ প্রদান করে। বলেন তো আপনারা  মনে মনে সেগুলো কি কি? সেগুলো হলো যথাঃ

  1. ব্লগ বা ওয়েবসাইটের উপর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ফলে।
  2. এবং ইউটিউবের উপর বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ফলে।

ব্লগ এবং ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করবেন তার বিস্তারিত বিবরণ নিচে আলোচনা করা হবে। তাই কেউ পোস্টটি না পড়ে যাবেন না।

গুগল এডসেন্স কত প্র্রকার ও কি কি খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনাঃ 

গুগল এডসেন্স আসলে কত প্রকার কি কি? এবং কিভাবে কাজ করে?  সাধারনত গুগল এডসেন্স দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে যথাঃ

  1. গুগল হোস্টেড এডসেন্স 
  2. এবং নন হোস্টেড এডসেন্স 

এখানে গুগল হোস্টেড এডসেন্স এবং নন হোস্টেড এডসেন্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

গুগল হোস্টেড এডসেন্স একাউন্টঃ 

হোস্টেড এডসেন্স হলো গুগলের এডসেন্স একাউন্টের একটি অন্যতম প্লাটফর্ম যেখানে ইউটিউব ও ব্লগের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল সংরক্ষণ করা হয়।  এটি সাধারনত যারা গুগলের  হোস্ট করা জায়গায ব্যবহার করে থাকে তাদের জন্য। এখন কথা হচ্ছে গুগলের হোস্ট টা কি? “ ব্লগস্পট” এবং  ”ইউটিউব” হলো গুগলের পাটনার আপনি ইউটিউবে লক্ষাধিক ভিডিও যদি আপলোড করেন সেখানে ভিডিওগুলো রাখতে পারেন তার জন্য আলাদা করে আপনাকে কোন হোস্টিং কিনতে হয় না। যত হোস্টিং প্রয়োজন হবে সম্পূর্ণ গুগোল সংরক্ষণ করে থাকবে । আর ইউটিউব ব্যবহার করে যে অ্যাডসেন্স আপনি ব্যবহার করবেন সেটা হলো হোস্টেড একাউন্ট। অন্যদিকে যারা গুগলের ব্লগার প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্লগিং করেন সেখানে আপনাদেরকে কোন টাকা দিতে হয় না। আপনার সকল পোস্ট ফটো এমনকি ভিডিও সবকিছুর জন্য যে জায়গা প্রয়োজন হয় অর্থাৎ যে হোস্টিং প্রয়োজন হয় সেটা সম্পূর্ণ গুগল ফ্রিতে প্রোভাইড করে থাকে। এবং সেই  ক্ষেত্রে আপনাকে উপার্জন করার জন্য গুগল এডসেন্স এর  যে অ্যাকাউন্ট দিয়ে থাকে সেটা হলো হোস্টেড অ্যাকাউন্ট । আশাকরি হোস্টেড অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এখন হোস্টের অ্যাকাউন্টের পাওয়ার সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করব।

হোস্টের অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় ব্যবহার করতে পারব?

যেহেতু হোস্টেড একাউন্টে গুগলে  হোস্ট করা জায়গার উপর বেসিস করে গুগোল প্রোভাইড করে থাকে, তাই গুগল এটা যে প্ল্যাটফর্মের ওপর আপনাকে দিয়েছে কেবলমাত্র সেখানেই ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনাকে ইউটিউবের ওপর এডসেন্স একাউন্ট দিয়ে থাকে তাহলে সেই একাউন্টে শুধুমাত্র ইউটিউবে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি ব্লগারের কোন ব্লগ পোস্টের  জন্য দিয়ে থাকে তখন সেই এডসেন্স টি শুধুমাত্র সেই ব্লগেই ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউব এবং ব্লগার থেকে যে এডসেন্স একাউন্ট আপনাকে দেওয়া হয়েছে সেটা সেই প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করতে পারবেন না। এখন কথা হল আমার কয়েকটা ওয়েব সাইট রয়েছে, আমি একই একাউন্ট কিভাবে প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের  সাথে একই এডসেন্সে ব্যবহার করতে পারব? পারবেন সেটার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি আপগ্রেড করে নিতে হবে। কিভাবে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে আপগ্রেড করবেন সেটা একটু নিচেই আলোচনা করব। তার আগেই জেনে নেওয়া যাক গুগল নন হোস্টেড একাউন্ট কি?

গুগল নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্টঃ

নন হোস্টেড এডসেন্স হলো যে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে আপনার নিজস্ব হোস্টিং এর ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আপনি যদি ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন আর হোস্টিং কিনে গুগল এডসেন্সের কাছে আবেদন করেন তখন যদি গুগল যাচাই বাচাই করে এপ্রুভ করে সেটি হল  নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট।একটি  নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্টে ৫০০ টি ওয়েবসাইট কানেক্ট করা যায়। এবং সবগুলো ওয়েবসাইটের টাকা একটি মাত্র  নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্টের মধ্যে জমা হবে। আপনারা বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন। কিভাবে ডোমেইন ও  হোস্টিং কিনতে হয় ইউটিউবে ভিডিও সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

নন হোস্টেড একাউন্ট কোথায় কোথায় ব্যবহার করতে পারব?

আপনার যদি একটি গুগল নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট থাকে সে অ্যাডসেন্স দিয়ে আপনি ব্লগারের যেকোনো সাবডোমেইনে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার যদি আরো অনেকগুলো ওয়েবসাইট থেকে সেখানে এড কোড ব্যবহার করে এই এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি এই এডসেন্স একাউন্ট ইউটিউবে ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার সেলফ হোস্টেড ওয়েবসাইট ব্লগস্পট এমনকি ইউটিউব এর সকল আর্নিং একই জায়গায় একসাথে যোগ হবে। এমনকি সকল আর্নিং একসাথে আপনাকে পেমেন্ট করবে।  এখন কথা হল কিভাবে একটি পোষ্টের একাউন্ট ক্যানন হোস্টের একাউন্টে আপগ্রেড করবেন। পূর্বেই বলেছিলাম কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট আপগ্রেড করবেন। এখন সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করব।


এডসেন্স অ্যাকাউন্ট আপগ্রেডঃ 

মনে করুন আপনার একটি ইউটিউবের এডসেন্স রয়েছে এটা হল হোস্টেড একাউন্ট। এ একাউন্ট দিয়ে আপনি আপনার ওয়েব সাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন না অথবা মনে করুন আপনার  ব্লগস্পটের সাবডোমেইনে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং সেখানেও গুগল এডসেন্স রয়েছে সেটাও হোস্টের একাউন্ট। হোস্টেড অ্যাকাউন্ট  যে প্লাটফর্মে আপনাকে দিয়েছে শুধু মাত্র সেখানেই ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কথা হল আপনার আরো অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে কিভাবে সেই এডসেন্সকে ব্যবহার করবেন এবং একই এডসেন্সে কিভাবে কানেক্ট করবেন। খুবই সহজ ব্যাপার।

আপনার জন্য সেলফ হোস্টেড  ওয়েবসাইট রয়েছে সেই ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি হোস্টেড একাউন্টকে নন হোস্টেড একাউন্ট এর জন্য আবেদন করবেন। তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে রিভিউ করে যদি এডসেন্স এর টার্ম এবং কন্ডিশন ঠিক থাকে তাহলে এডসেন্সে অনুমোদন  দিবে। তখন আপনার গুগল এডসেন্স টি হোস্টেল থেকে নন হোস্টেড একাউন্টে রূপান্তর হয়ে যাবে।

কিভাবে ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন দিয়ে নন হোস্টেড একাউন্ট করবেনঃ 

অনেকেই এ ব্যাপারটি নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে সেটা হল। আমি ব্লগারের হোস্টিং ব্যবহার করি কিন্তু আমার ডোমেইনটি (ডট কম, ডট নেট, বাজে কোন এক্সটেনশন লাগানো) কাস্টম ডোমেইন তখন সেই ক্ষেত্রে আমার গুগল এডসেন্স টি হোস্টেল হবে নাকি নন হোস্টেড হবে? এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মাঝে মাঝে রয়েছে । এটা অবশ্যই গুগল নন হোস্টেড একাউন্ট কেননা যখনই গুগলের হোস্টিং ব্যবহার করে আপনি আপনার কাস্টম ডোমেইন দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, তখন ডোমেইন এর উপর ডিপেন্ড করে ওয়েবসাইট নির্মিত আর ডোমেইনটা আপনার  নামে রেজিস্টার করা। তাই এটি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট আর এই ওয়েবসাইটের ওপর যখন গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল দেবে সেটা অবশ্যই নন হোস্টেড একাউন্ট হবে।

কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করবেন খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনাঃ 

 কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করবেন খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা,ব্লগে গুগল এডসেন্স, ব্লগ বা ওয়েবসাইট কি?কিভাবে ব্লগ থেকে আয় করবেন, ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কি কি ধরনের কন্টেন্ট লিখবেন,ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভ করার সহজ উপায়,গুগল এডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভ হওয়ার প্রধান শর্ত সমুহ,ব্লগের পোস্ট কমপক্ষে কতো শব্দের হতে হবে? কন্টেন্টের মান কেমন হতে হবে? ব্লগে Privacy policy, Contact information,টপ লেভেল ডোমেইন কেন প্রয়োজন?কিভাবে ব্লগে কাস্টমাইজ করব,সাইটে কতগুলো কন্টেন্ট থাকতে হবে? ব্লগ সাইট,কিভাবে ব্লগ তৈরি করব, সকল বাংলা ব্লগ,বাংলা ব্লগ সাইট,ব্লগ থেকে আয় করার সহজ উপায়,ব্লগ তৈরি করার নিয়ম,ব্লগিং করে আয়,লেখলেখি করে আয় করার উপায়।

লেখালেখি করে আয় করার একটা  চমৎকার সহজ মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। যারা এর আগে বাংলায় লেখালেখি করতেন তাদের ইনকাম করার উপায় ছিল না। কারণ বাংলা আর্টিকেল গুগল এডসেন্স এপ্রুভ করত না। কিন্তু বর্তমানে বাংলা কন্টেন্ট গুগলে বৈধ করা হয়েছে। এখন অনায়াসে বাংলা কন্টেন্ট লিখে গুগল এডসেন্স পেতে পারেন। এখন থেকে গুগল এডসেন্সে অফিশিয়াল ভাবে বাংলা সাপোর্ট করবে। এখন যে কেউ বাংলা কন্টেন্টে এডসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন। যেহেতু আমরা বাঙালি সেহেতু বাংলা কন্টেন্ট লিখতে সহজ হয়। তাছাড়াও অনেকেই আছে ইংরেজিতে খুবই দুর্বল। আমি কিন্তু মোটেই দুর্বল না আমার আরেকটি জনপ্রিয় ইংলিশ ওয়েবসাইট আছে।

যদিও ইংরেজী কন্টেন্টে আগে থেকে বাংলাদেশ থেকে এডসেন্স সাপোর্ট ছিল। বাংলাদেশে অনেকেই অনেক ভালোমানের আয় করত এবং এখনো করছে। ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে অনেক ভালো আয় করা যায়। এছাড়া এডসেন্স ছাড়াও আরো অনেক ভাবে ব্লগ বা ওয়েব সাইট থেকে আয় করা যায়, যেমন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অথবা নিজের প্রডাক্ট প্রমোট করেও সেই মানের উপার্জন করা যায়। শুধুমাত্র মাথায় একটু পুষ্টি থাকতে হবে।

আমরা অনেকেই ফেসবুকে অনেক স্ট্যাটাস লিখে অযথা সময় নষ্ট করে থাকি। স্ট্যাটাস আকারে না লিখে  আপনি যদি নিয়মিত ব্লগ একাউন্ট খুলে লেখা শুরু করেন তাহলে এখন থেকে নিজের লেখা গুলো থেকেই আয় করার একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। যেহেতু বাংলায় এডসেন্স সাপোর্ট রয়েছে, ইংরেজী দক্ষতা ছাড়াও সুন্দর কন্টেন্ট লিখে ভালমানের ইনকাম করতে পারবেন। এই ধরুন আমি বাংলা কন্টেন্ট লিখে ইনকাম করতেছি।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে কি কি ধরনের কন্টেন্ট লিখবেনঃ

ব্লগ লেখার জন্য আপনাকে খুব একটা এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ হতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। আপনি পড়ালেখা করেন যে বিষয়ে, ঐ বিষয় নিজে জানার পাশাপাশি লিখে রাখতে পারেন যেন নতুনরা উপকৃত হয়। লিখতে পারেন আপনার
পছন্দের বিষয়ে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল বা যে কোন খেলাধুলা,রান্নাবান্না,গল্প,কৌতুক,ছড়া,গান,কবিতা,উপন্যাস,নাটক,
বই নিয়ে রিভিউ, কোন গ্যাজেট নিয়ে রিভিউ, খাবার দাবার, লাইফস্টাইল সহ আরো কত কিছু পৃথিবীতে নানান বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন।

মনে রাখতে হবে যেন অন্যের কন্টেন্ট নিজের ব্লগে সরাসরি কপি পেস্ট না করা হয়। যে কোন কিছু নিজের মত করে লিখতে হবে কোনপ্রকার অন্যের আর্টিকেল চুরি করা যাবে না। আর যদি অন্যের কন্টেন্ট চুরি করে কপি পেস্ট করা হয়, গুগল পেনাল্টি হিসেবে এডসেন্স একাউন্ট ব্যান করে দিতে পারে। একই কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তু হোক সেটা সমস্যা না কিন্তু আপনার নিজের মত করে লিখতে চেষ্টা করবেন।

লেখালেখি প্রকাশ করার জন্য একটা ওয়েব সাইট লাগে। তার জন্য প্রতিবছর টাকা গুনতে হয় যেমন ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হয়। যারা ফ্রিতে শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ হতে পারে blogspot.com এ একটা ব্লগ খুলে লেখালেখি শুরু করে দেন। এখানে ফ্রিতে একটা সাবডোমেইন পাওয়া যাবে। এছাড়া লেখালেখি করার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস যুক্ত রয়েছে। এছাড়া এখানে এডসেন্স এপ্রুভ করিয়ে এডও দেখানো যাবে। এটা দিয়ে শুরু করলে অনলাইনে কিভাবে নিজের লেখা প্রকাশ করা যায়, কিভাবে ব্লগ বা ওয়েব সাইট গুলো কাজ করে, এসব সম্পর্কে আইডিয়া হয়ে যাবে। এরপর ভালো আইডিয়া হলে নিজস্ব ওয়েব সাইট খুলতে পারবেন। কারণ ভালো রেভিনিউর এর জন্য দরকার নিজস্ব ওয়েবসাইট। তখন না হয় ডোমেইন হোস্টিং  কিনে এড করে দিবেন। এই যে ধরুন আমার এই ওয়েবসাইট প্রথমে ব্লগে খোলা ছিল কিন্তু পরে আমি ডোমেইন কিনে নিয়েছি।

লেখালেখি যাদের ভালো লাগে, তাদের জন্য এটা দারুণ একটা দারুণ সুযোগ। যারা পড়ালেখা করে, এ সুযোগকে কাজে লাগালে নিজের পকেট খরচ নিজেই উঠাতে পারবেন। এছাড়া ভালো লিখতে পারলে এখানেই ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। একজন ভালো লেখক প্রতি ঘন্টায় ১০০ ডলার বা তারো বেশি উপার্জন করতে পারবেন।
ব্লগিং এত সুবিধা দেখে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যে ব্লগিংকে পেশা হিসেবে নিতে চায় । আর তার জন্য অনেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি ও করে ফেলে এবং সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ ও করতে থাকে।

ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলেই কি টাকা আসা শুরু হবে?

ব্লগে গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হলেই  টাকা আসা শুরু হবে এটা আরেকটা ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন ব্লগে এড বসালেই টাকা আসা শুরু বাস্তবে তেমনটা নয়। আপনি ভেবে দেখুন গুগল কেন আপনাকে টাকা দিবে?বিনা কারণে গুগল কখনই আপনাকে টাকা দিবে না। যখন মানুষ আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং এডসেন্স এর এড এ ক্লিক করবে তখন আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। এইজন্য এডসেন্স থেকে টাকা আয় করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর ট্রাফিক বা ভিজিটর। যখন আপানার ব্লগ পোস্ট পড়ে মানুষের উপকার আসবে অথবা সে আনন্দ পাবে তখন আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অনেকক্ষণ থাকবে। এর ফলে সে কোন না কোন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। তাছাড়াও ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনেকক্ষণ থাকলে এড ইম্প্রেশন বাড়ে যার ফলেও উপার্জন হয়। তাহলে এখন বলুন গুগলের এড ব্লগে বসালেই কি টাকা আসা শুরু হবে?

কিভাবে বুঝবো আমার সাইট এডসেন্স উপযোগী কিনা? 

কিভাবে বুঝব আমার সাইট এডসেন্স উপযোগী কিনা? এইটার জন্য আমি আপনাকে একটা সহজ সল্যুশন দিচ্ছি।  নিজের ব্লগটিকে আপনি মালিক না ভেবে বরং নিজেকে ভিজিটর হিসেবে দেখুন। আমি নিশ্চিত আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তারপরেও যদি বুঝতে না পারেন যে, আমার সাইটে কোন সমস্যা আছে কিনা। তাহলে সোজা গিয়ে এডসেন্স এ এপ্লাই করুন। আপনার সাইট ভালো হলে গুগল আপনাকে এডসেন্স দিয়ে দিবে অথবা কি সমস্যা আছে সেটা তারা আপনার ই-মেইলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে।  আপনি সেই সমস্যা গুলো সমাধান করে আবার পুনরায় এপ্লাই করবেন। আপনি একবার নয় হাজার বার এপ্লাই করতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি এডসেন্স এপ্রুভ করাতে না পাচ্ছেন। তাতে আপনার ব্লগের কোন ক্ষতি হবে না। যেমন আমি ১৪ বারের মাথাই এপ্রুভ করাতে পেরেছিলাম। তার মানে ১৩ বার আমার এডসেন্স এপ্রুভ করে নাই গুগল এডসেন্স টিম। আমি ১৪ বারে গিয়ে সফল হয়। আপনিও ইনশাল্লাহ সফল হবেন।

গুগল এডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভ হওয়ার প্রধান শর্ত সমুহঃ

গুগল এডসেন্স এপরুভ না হওয়ার কিছু বেসিক কারণ থাকে।তাই আপনারা যারা নতুন আছেন তারা যেন প্রথমবার এপ্লাই করেই গুগল এডসেন্স এপরুপ করাতে পারেন সেই সর্ম্পকেই আমরার আজকের এই পোষ্ট।গুগল এডসেন্স এপরুপ করানোর জন্য যা যা থাকতে হবে আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

  • অবশ্যই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ৩০-৪০ ভালোমানের আর্টিকেল থাকতে হবে।
  • অন্য কোন কোম্পানির এড ব্লগে সেটিং না করলেই ভালো হয় বরং করবেন না।
  • পপ-আপ উইন্ডো যেমনঃ ফেসবুক লাইক বক্স থাকা যাবে না।
  •  অন্যের আর্টিকেল চুরি করে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন না।
  • গুগল এডসেন্সের কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে এমন কিছু পোস্ট করা যাবে না।
  • এডাল্ট, হ্যাকিং,অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে এমন কোন কন্টেন্ট থাকা যাবে না।
  • সেক্সুয়াল বা দুঃখজনক ঘটনা পরিহার করুন এমন কোন কন্টেন্ট লিখবেন না যার ফলে মানুষ খারাপের দিকে প্রভাবিত হয়।
  • টপ লেভেল ডোমেইন হতে হবে। অর্থাৎ সাব-ডোমেইন হলে একাউন্ট এপ্রুভ হবে না। (তবে ব্লগস্পট এর বিষয়টা আলাদা)
  • পোষ্টগুলোর সাইজ কমপক্ষে ৫০০ ওয়ার্ডের বেশি হলে ভাল হয়। তবে ১০০০ এর বেশি করতে পারলে আরো ভালো।সবসময় চেষ্টা করবেন অনেক বড় আর্টিকেল পোস্ট করতে।
  • আপনার সাইটের ডোমেন এর বয়স এক মাসের বেশি হতে হবে।
  • কমপক্ষে ৬টি পেজ থাকতে হবে। (তা হলো: About Us,Contact Us,Privacy Policy,sitemap,Disclaimer,Terms & Conditions) এই পেজগুলো ছাড়া আপনার ব্লগে এডসেন্স এপরুপ না করার সম্ভাবনা বেশি।
  • একটি ভালো ও সুন্দর প্রিমিয়ার থিম হলে ভালো হয় । ফ্রি থিম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করে  গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করবেন ।
  • একটি মাস্টার ডোমেইন (যেমন: .com, .net, .in, .bd, .info, .org )কিনলে সবচেয়ে ভালো হয়।
  • কখনেই অন্যের ইমেজ কপি করবেন না। তবে হ্যা ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ইমেজ ফ্রিতে পাওয়া যায় সেগুলো ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারেন অথবা ফটোশপ দিয়ে ভালো করে এডিটিং করে নিবেন।
  • উল্টা পাল্টা অশালীন  অথবা সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এমন কন্টেন্ট আপনার ব্লগে পাবলিশ করবেন না।

ডেমো দেখতে ক্লিক করুন 👉

অনলাইন নিউজ পোর্টাল: https://bit.ly/2NJPmN1

অনলাইন টেলিভিশন: https://bit.ly/3ipeXcy

ই-কমার্স ওয়েবসাইট: https://bit.ly/2YPxKpu

ডলার/ফ্লেক্সিলোড ওয়েবসাইট: https://bit.ly/2BjsIsA

অনলাইন রেডিও: https://bit.ly/3dJRcZ2

অন্যান্য ওয়েবসাইট: https://bit.ly/3eTJNHO

 

About POPULAR HOST BD

POPULAR HOST BD IT company in Bangladesh ICT sector. POPULAR HOST BD is the Best domain & web hosting company in Bangladesh. POPULAR HOST BD providing cheap domain price and qualityfull SSD hosting with Top security and 99.99% up-time & Quality service guaranteed. We Also provide Web Server, Web Design & Development, Digital Marketing, Software development, Bulk SMS, Online Radio, Graphic Design Etc…  

One comment

error: Content is protected !!